OrdinaryITPostAd

কোন বয়সে বাচ্চার ওজন কেমন হওয়া উচিত এবং ওজন কম হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত?হ্যালো বন্ধুরা, কোন বয়সে বাচ্চার ওজন কেমন হওয়া উচিত তা অনেক বাবা- মায়েদের কাছে অজানা। তাই আপনারা এ বিষয়ে পুরোপুরি জানতে চান কিন্তু কোথাও সেরকম কোন সমাধান পাচ্ছেন না। তাই এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি বাচ্চাদের কোন বয়সে কিরকম ওজন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

নিজে এই আর্টিকেলে আমরা কোন বয়সে বাচ্চার ওজন কেমন থাকা উচিত, জন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত, বাচ্চার ওজন বাড়া ও কমার কারণ সহ আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।


কোন বয়সে বাচ্চার ওজন কেমন হওয়া উচিত এবং ওজন কম হলে করণীয়

ভূমিকাঃ

একটি বাচ্চা যখন পৃথিবীতে আসে তখন বাচ্চার ওজন নিয়ে বাবা মায়ের যেন দুশ্চিন্তার শেষ নেই । জন্মের সময় বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা, শিশুর বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, শিশুর ওজন কোন বয়সে কিরকম হওয়া উচিত। এরকম নানা ধরনের প্রশ্ন নিয়ে বাবা মায়েরা টেনশন এ থাকে।

 কিন্তু তাদের এ টেনশন ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আসলে জানতে হবে বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা, আর বাচ্চার ওজন বাড়তেছে কিনা। তাছাড়া বাচ্চার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়া যেমন দুশ্চিন্তার আবার বেশি হওয়াও ভয়ের। যদি বাচ্চা ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করে আর প্রস্রাব পায়খানা করে তাহলে ওজন বেশি নাকি কম এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।

যদি বাচ্চার ওজন না বাড়ে এবং বাচ্চার বৃদ্ধি না হয় তাহলে আমাদেরকে তাহলে জানতে হবে কিভাবে বাচ্চার ওজন বাড়ানো যায় আর এজন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাছাড়া এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি কিভাবে বাচ্চার ওজন বাড়ানো যায় এবং বাচ্চার ওজন কেমন হওয়া উচিত।

কোন বয়সে বাচ্চার ওজন কেমন থাকা উচিতঃ

আপনার নবজাতক শিশুর কোন কিছুই আপনার চোখ এড়ায় না। আপনার শিশু রোগা হচ্ছে নাকি মোটা হচ্ছে এ নিয়ে আপনি সবসময় চিন্তিত। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, রোগা বা মোটা দেখে শিশু সুস্থ কিনা বোঝা যায় না। 

তবে শিশুর ওজন ঠিক আছে কিনা সে বিষয়টি সবসময় নজরে রাখা দরকার। তাই আপনার জন্য একটা তালিকা দেয়া হলো- যে তালিকা দেখে আপনি বাড়িতেই বুঝতে পারবেন বয়স হিসাবে শিশুর ওজন ঠিক আছে কিনা। এই তালিকা দেখে শতাংশ বের করুন। শিশুর আদর্শ ওজনকে ১০০ শতাংশ ধরে ঐকিক নিয়মে যে কেউ শতাংশ বের করতে পারবেন।

 শিশুর ওজন আদর্শ ওজনের ৮০ শতাংশের কম হলে তাকে মোটামুটি অপুষ্টি বলে আর ৬০ শতাংশের কম হলে তাকে মারাত্মক অপুষ্টি বলে ধরে নিতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন বয়সে কজন কি রকম হবে-

বয়স     ছেলেদের (আদর্শ)    মেয়েদের (আদর্শ)

৬ মাস      ৭.৮ কেজি          ৭.২ কেজি

১ বছর       ১০.২ কেজি         ৯.৫ কেজি

২ বছর       ১২৩ কেজি         ১১.৮ কেজি

৩ বছর       ১৪.৬ কেজি       ১৪.১ কেজি

৪ বছর        ১৬.৭ কেজি       ১৬ কেজি

৫ বছর       ১৮.৭ কেজি        ১৭.৭ কেজি

৬ বছর       ২০.৬৯ কেজি     ১৯.৫ কেজি

৭ বছর        ২২.১ কেজি         ২১.৯ কেজি

৮ বছর        ২৫.৩ কেজি       ২৪.৮ কেজি

৯ বছর         ২৮ কেজি           ২৬ কেজি

১০ বছর       ৩২ কেজি           ৩২ কেজি

১১ বছর        ৩৬ কেজি          ৩৫ কেজি

১২ বছর        ৪৫ কেজি           ৪৪ কেজি

জন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিতঃ

জন্মের সময় একটি শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত তা অনেকেরই অজানা। তাই অনেক অভিভাবকের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে জানার আগ্রহ খুব বেশি। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সে বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। 

কেননা বাচ্চার ওজন বিভিন্ন বয়সে কত হলে ঠিক সেটা তার জন্মের সময়ের ওজনের সাথে তুলনা করে হিসাব করা হয়। আমেরিকায় একটি শিশুর জন্মের সময় সাধারণত গড় ওজন ৩ থেকে সাড়ে ৩ কেজি হয়ে থাকে। 

শিশুর বার্থ ওয়েট বা জন্মের সময় ওজন যদি আড়াই থেকে ৩.৮ কেজির মধ্যে হয় তবে সেটা স্বাভাবিক ওজন হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৩.৮ কেজির তুলনায় কম বা বেশি হলে শিশুটি সুস্থ আছে কিনা তার নিশ্চিত হতে চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবেন।

বাচ্চার ওজন বাড়া ও কমার কারণঃ

সব বাচ্চা কিন্তু সমান নয়। যেমন কারো ওজন বেশি হয়, আবার কারো ওজন কম হয় এটাই স্বাভাবিক। ওজন বেশি ও কম হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। নিম্নে সেগুলো দেওয়া হলো-

  • মায়ের নিজের ওজন ও খাবারের রুটিনের ওপর বাচ্চার ওজন নির্ভর করে। গর্ভধারণের আগে থেকেই বা গর্ভাবস্থার পুরো সময় জুড়ে মায়ের ওজন যদি বেশি থাকে তাহলে বাচ্চার ওজন বেশি হতে পারে। অন্যদিকে মা যদি গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার না খায় বা পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাহলে এর প্রভাব বাচ্চার ওজনে পড়বে।
  • শিশু জন্মানোর আগে মায়ের স্বাস্থ্য কেমন ছিল। মায়ের মদ বা সিগারেটে আসক্তি ছিল কিনা, ডায়াবেটিস আছে কিনা এইসবের উপরেও শিশুর জন্মের সময়ের ওজন কেমন হবে তা নির্ভর করে।
  • বংশগতভাবে মায়ের স্বাস্থ্য কেমন বা মায়ের নিজের বার্থ ওয়েট বা জন্মের সময় ওজন কেমন ছিল, মা - বাবা দুজনের শারীরিক গঠন ও ওজন কেমন এগুলোর ওপরও শিশুর স্বাস্থ্য কেমন হবে তা নির্ভর করে।
  • সন্তান জন্মদানের জন্য বয়স একটি জরুরী বিষয়। সাধারণত কম বয়সী মায়ের সন্তান কিছুটা ছোট হয় অর্থাৎ ওজন কম হয়।
  • শিশু ছেলে না মেয়ে সেটির উপরে ওজন নির্ভর করে। যেমন মেয়ে শিশুর তুলনায় ছেলে শিশুর ওজন কিছুটা বেশি হয়।
  • সাধারণত যেসব মায়ের একাধিক শিশু আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রথম শিশুটির ওজন অন্যদের তুলনায় কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • যদি জমজ ভাই একসঙ্গে দুইয়ের বেশি শিশুর জন্ম হয়, তাহলে শিশুদের ওজন কিছুটা কমাতে পারে।

বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায়ঃ

বর্তমানে শিশুর ওজন না বাড়া প্রত্যেকটি বাবা মায়ের কাছে একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চা খেতে চায় না, খেতে গেলে হাজারটা বায়না, না খাওয়ার অজুহাত প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে এটি একটি কমন সমস্যা। যার দরুন বাচ্চার ওজন দিন দিন কমতেই আছে। চলুন জেনে নেই শিশুর ওজন বাড়াতে করণীয় সম্পর্কে-

  • শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যসম্মত সব খাবারদাবার। শিশুর খাবারের ক্যালরির মাত্রা নিয়ে নিশ্চিত হোন যে তা আপনার সন্তানের চাহিদা পূরণ করছে কিনা।
  • খাবারের সময়কে আনন্দময় করে তুলুন আর শিশুকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে কোনরকমে তাড়াহুড়ো করবেন না। পরিবারের সবাই একসাথে শিশুকে নিয়ে খাবার খেতে বসুন।
  • শিশুকে যায় খাওয়ান না কেন, কখনো জাঙ্কফুট বা ফাস্টফুডের প্রতি আসক্ত যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। তা না হলে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে আগ্রহী করতে কষ্ট হবে।
  • খাবার রান্না ও বিভিন্ন রকমের রেসিপি ব্যাপারে ও খাবার পরিবেশনের সময় শিশুর সাহায্য নিন। এতে সে খাবারে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর শিশুকে বারবার খাবার খেতে উৎসাহিত করুন যা ওজন বাড়াবার মূল চাবিকাঠি।
  • আপনার শিশু যদি খুব বেশি বেছে বেছে খায় আর ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খেতে না চায় তবে তাকে ক্যালোরি সমৃদ্ধ যেসব ড্রিংক পাওয়া যায় তা খেতে দিন, তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
  • শিশুর ওজন বাড়াতে যে খাবারগুলো খুব দরকার-দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার যেমন ঘি, পনির, পায়েস, পুডিং ইত্যাদি; প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, বাদাম, সীমের বিচি; শর্করা জাতীয় খাবার যেমন আলু, ভাত, রুটি ইত্যাদি খেতে দিন।
তাছাড়া শিশুর ওজন বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হতে নিয়মিত শিশুর ওজন মাপুন।

বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবারঃ

একটি শিশুর মধ্যে আদর্শ ওজন থাকা জরুরী। অতিরিক্ত ওজন যেমন শরীরের জন্য ভালো নয় আবার স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কম ওজন থাকলে শিশুদের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।ফলে শরীরের মধ্যে ছোট ছোট রোগব্যাধি বাসা বাঁধে। 

তাই ওজন বাড়াতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের শিশুদের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার এবং সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি। শিশুরা মুখরোচক খাবার যেমন ফাস্টফুট ও জাঙ্ক ফুট খেতে খুব বেশি পছন্দ করে। কিন্তু এসব খাবারের প্রচুর ক্যালরি থাকলেও পুষ্টিগুণ নেই বললেই চলে। তাই জেনে নেওয়া যাক কোন খাবার খেলে শিশুর ওজন বাড়বে এবং পুষ্টিগুণ মিলবে।

ডিমঃ শিশুদের জন্য ডিম একটি পরিপূরক খাবার। ডিমের আছে প্রচুর প্রোটিন। শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে প্রোটিনের অবদান অপরিসীম। আর একটি ডিমই শিশুর শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন। মিনারেল সবকিছুর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। শিশুরা ডিম খেতে খুবই ভালোবাসে। প্রতিদিন একটি সিদ্ধ ডিম শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমের পোচ, ওমলেটও খাওয়াতে পারেন।

দুধঃ শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে দুধ ভীষণ কার্যকর। আর দুধ হল কার্বোহাইড্রো প্রোটিনের ভালো উৎস। শিশুকে রোজ দু গ্লাস দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া দুধের সর, ক্রিমও খাওয়াতে পারেন।

কলাঃ গলার মধ্যে আছে কলার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি,ভিটামিন বি৬। এসব উপাদান শিশুর শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কলা দিয়ে মিল্ক শেক তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। এছাড়াও কলার প্যানকেক, কেক ও মাফিনও খাওয়ানো যেতে পারে।

আলুঃ শিশুর ওজন বাড়াতে চাইলে তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কমপক্ষে ৪০ ভাগ কার্বোহাইড্রেট রাখতেই হবে। কার্বোহাইড্রেটের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো আলু। আলুতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

মুরগির মাংসঃ প্রোটিনের অন্যতম আরেকটি উৎস হল মুরগির মাংস। এটি পেশি মজবুত করে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করে। তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মুরগির মাংস রাখবেন না। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খাওয়াতে পারেন।

মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলু খুব সহজে সিদ্ধ হয়ে যায় এবং সহজে বাটা যায়। এগুলি সুস্বাদু, পুষ্টিকর, সহজ প্রাচ্য ও স্বাস্থ্যকর। মিষ্টি আলু ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, কপার, ফসফরাস পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজে ভরপুর। শিশুদের ওজন বৃদ্ধির জন্য এগুলো শ্রেষ্ঠ ভিটামিন। মিষ্টি আলুতে ডায়েটের উপযুক্ত ফাইবার আছে যথেষ্ট পরিমাণে। আপনি এই মিষ্টি আলু দিয়ে এবং স্যুপ তৈরি করতে পারেন।

শেষ কথাঃ

বর্তমানে কিছু বাবা- মা আছে সন্তান বেশি মোটা হলেও দুশ্চিন্তা করে আবার চিকন হলেও দুশ্চিন্তা শেষ নেই। আসলে সন্তান চিকন হোক বা মোটা হোক এটা নয় আমাদেরকে যে জিনিসটা খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো বাচ্চাটির সুস্থ আছে না অসুস্থ। 

এর মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কোন বয়সে বাচ্চার কেমন ওজন হওয়া উচিত এবং বাঁচার ওজন কম হলে কি ধরনের খাবার দেওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি । আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং আপনাদের বাচ্চার ওজন নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

 আর আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে শেয়ার করবেন। তাছাড়া এরকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকবেন এবং আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। আর আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url