বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা মুভি সম্পর্কে জানুন
পৃথিবীর সেরা মুভির তালিকানিশ্চয়ই আপনারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা মুভি এবং বাংলাদেশের বেশি আয় করা মুভির সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও মনের মত তথ্য খুঁজে পাননি। তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সমস্যা নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাই আর্টিকেলটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
নিচে আর্টিকেলে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা মধু এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০টি মুভি নিয়ে বিস্তারিত হয়ে আলোচনা করেছি।
ভূমিকাঃ
মানুষের আগ্রহ বা জানার কোন শেষ থাকে না। অনেকেই আছে যারা মুভি দেখতে খুব বেশি পছন্দ করে। মুভি দেখতে শুধু নয়, কোন মুভি ব্লকবাস্টার, কোন মুভি কত ইনকাম করেছে এসব বিষয় নিয়ে তাদের আগ্রহের কোন শেষ থাকেনা।
তাই সেসব লোকের কথা চিন্তা করে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা মুভি এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০ টি ছায়াছবি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
বিশ্বের সবচেয়ে আয় করা মুভিঃ
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি বিশেষ সেরা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা মুভি সম্পর্কে-
এভাটার (২০০৯)
২০০৯ সালে রিলিজ হওয়া জেমস ক্যামেরনের মুভি এভাটার প্রায় তিন বছর ধরে প্রথম স্থানে আছে। একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সেরা মুভির একটি হচ্ছে এভাটার। এই মুভি আয় করেছে ২.৭৮২ বিলিয়ন ডলার! এভাটারই বিশ্বের প্রথম মুভি যা ২ প্লাস বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তাছাড়া মুভিটি ব্লকবাস্টার হওয়ার পেছনে অবদান রয়েছে জেমস ক্যামেরন আর থ্রিডি প্রযুক্তির।
টাইটানিক (১৯৯৭)
দীর্ঘ ১২ বছর প্রথম স্থানে থাকার পর জেমস ক্যামেরার আরেকটি মুভি টাইটানিক (১৯৯৭) এখন দ্বিতীয় স্থানে আছে। বিংশ শতাব্দীর সেরা মুভির তালিকায় রয়েছে টাইটানিক। এখন পর্যন্ত মুভিটি আয় করেছে ২.১৮৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া টাইটানিক ১১ টি অস্কার পুরস্কার পেয়েছে। আর টাইটানিক হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় হবে যার আয় ছিল ২
দি এ্যাভেঞ্জার্স (২০১২)
দি এ্যাভেঞ্জার্স (২০১২) মুভিটি খুব অল্প সময়ে তৃতীয় স্থানে এসেছে। এই মুভিটি আয় করেছে ১.৫ প্লাস বিলিয়ন ডলার! মাত্র ১৯ দিনে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এর আগে এভাটার সম্ভবত ২৭ দিনে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।
এখন পর্যন্ত যত সুপার হিরো মুভি রিলিজ হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সফল মুভি হচ্ছে এটি এবং ডিজনীর সবচেয়ে ব্যবসায় সফল মুভি। দি ডার্ক নাইট, পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান, হ্যারি পটার, ট্রান্সফরমারস এর মত মুভি রেকর্ড ভেঙেছে এই মুভি।
হ্যারি পটার ৭.২ (২০১১)
হ্যারি পটার সিরিজের সর্বশেষ মুভি হ্যারি পটার অ্যান্ড দি ডেথলি হ্যালোস পার্ট ২ (২০১১) চতুর্থ স্থানে রয়েছে। মুভিতে আয় করেছে ১.৩২৮ বিলিয়ন ডলার। এটাই হ্যারি পটারের সর্বশেষ মুভি এবং এটাই প্রথম মুভি যা থ্রিডিতে তৈরি হয়েছে। এই মুভিটি ব্লকবাস্টার হওয়ার পেছনে হ্যারি পটারের মৃত্যুর অবদান রয়েছে।
আমার জানামতে যে মুভির নায়ক মারা যায় সেভাবে নতুন রেকর্ড করে যেমন- টাইটানিক। সেই হিসেবে বলতে পারি এই বছর দি ডার্ক নাইট রাইজেজে ব্যাটম্যানের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। কারণ এইবার মুভিতে জোকার নেই।
ট্রান্সফর্মারস ৩ (২০১১)
ট্রান্সফর্মারস সিরিজের ৩য় মুভি ট্রান্সফর্মারস ডার্ক অফ দি মুন (২০১১) রয়েছে ৫ম স্থানে। মুভিটি আয় করেছে ১.৩২৩ বিলিয়ন ডলার। দারুন সব VFX এই মুভির ব্লকবাস্টার হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে কাহিনীর দিক দিয়ে আমার কাছে প্রথম মুভিকে বস মনে হয়।
দি লর্ড অফ দি রিংস ৩ (২০০৩)
দি লর্ড অফ দি রিংস এর ৩য় পর্ব দি রিটার্নস অফ দি কিং (২০০৩) ১.১১৯ বিলিয়ন ডলার আয় করে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। শুধু ব্যবসা নয় মুভিটি ১১ টি অস্কার জিতে নিয়েছে। দারুন কাহিনী, ডিরেকশন, লোকেশন,VFX এর ফলে মুভিটি এত সফলতা পেয়েছে।
পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ানের ২ (২০০৬)
জনি ডেপ অভিনীত পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ানের ২য় মুভি ডেড ম্যান চেস্ট (২০০৬) ৭ম স্থানে। মুভিতে আয় করেছে ১.০৬৫ বিলিয়ন ডলার। দারুন কাহিনী প্লাস VFX ছাড়াও আরেকটা কারণ রয়েছে মুভিটি ব্লকবাস্টার হওয়ার পেছনে। সেটা হল যোনি দেবের জনি ডেপের অনবদ্য অভিনয়ের জন্য। তার অভিনীত ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো আমার প্রিয় চরিত্রের মধ্যে একজন।
টয় স্টোরি ৩ (২০১১)
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবসাসফল এনিমেটেড মুভি টয় স্টোরি ৩ (২০১১) রয়েছে ৮ম স্থানে। মুভিটি আয় করেছে ১.০৬২ বিলিয়ন ডলার। দারুন কাহিনী প্লাস থ্রিডি প্রযুক্তির ফলে মুভিটি এত সফলতা পেয়েছে।
পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান ৪ (২০১১)
পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ানের আরো একটি মুভি অন স্ট্যাঞ্জার টাইডস (২০১১) রয়েছে ৯ম স্থানে। এই মুভিটি আয় করেছে ১.০৪১ বিলিয়ন ডলার। অসাধারণ এই মুভি সম্পর্কে কিছু বলার নেই! কারণ আমি দেখেছি ব্লগের অনেকেই মুভি রিভিউ দিয়েছে কিংবা এই মুভি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
এলাইস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (২০১০)
সর্বশেষ ১০ম স্থানে রয়েছে জনি ডেপ অভিনীত আরো একটি ডিসনীর মুভি এলাইস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (২০১০)। মুভিটি আয় করেছে ১.০২৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আয় করে ১০ টি সিনেমাঃ
মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। আগে মানুষজন হলে গিয়ে প্রচুর সিনেমা দেখতো। কিন্তু মাঝখানে সিনেমার মান খারাপ হওয়ায় অনেক দর্শক হলে যাওয়া বন্ধ করে দিল। ফলে সিনেমার ব্যাপক হয় ক্ষতি হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে সিনেমার মান অনেকটাই ভালো এবং দর্শকরা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতেছে। বর্তমানে বেশ কিছু সিনেমা ব্যবসা সফল হয়েছে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক আগের এবং বর্তমানে বেশ কিছু ব্যবসা সফল সিনেমা যেগুলো প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে-
প্রিয়তমা (৪১.২৩ কোটি টাকা)
২.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রোমান্টিক অ্যাকশন ছবিটির পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ লেখক হিমেল আশরাফ। এটি ছিল তার ২য় মুভি নির্দেশনা। ভার্সেটাইল মিডিয়ার ব্যানারে আরশাদ আদনান প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির গল্পকার ছিলেন প্রয়াত ফারুক হোসেন।
হৃদয়বিদারক প্রেমের কাহিনী নিয়ে বানানো এই মুভি র নায়ক সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা সাকিব খান। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পাল।২০২৩-এর ২৩ জুন প্রকাশের পর প্রথম সপ্তাহেই প্রিয়তমার সংগ্রহ ১০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশী সিনেমার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে দ্রুততম সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। এটি ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কৃত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র এবং এবং সেই সঙ্গে সর্বকালেরও সর্বাধিক আয়কারী বাংলাদেশী মুভি। শুধু তাই নয়, এটি এখন পর্যন্ত শাকিব খানের ক্যারিয়ারেরও সর্বোচ্চ বক্স অফিস রেকর্ডধারী সিনেমা।
তাছাড়া প্রিয়তমা 22- তম বাবিসাস (বাংলাদেশ বিনোদনের সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার) অ্যাওয়ার্ডে বিশেষ সম্মান বিভাগে সেরা অভিনেতা এবং সেরা অভিনেত্রী সহ সর্বমোট নয়টি পুরস্কার জিতে নেন।
বেদের মেয়ে জোসনা (২০কোটি টাকা)
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চআয়কারী সিনেমার তালিকা গুলোর মধ্যে আরেকটি হল বেদের মেয়ে জোসনা। ১৯৮৯ সালে তোজাম্মেল হক বকুলের পরিচালিত সিনেমা হল বেদের মেয়ে জোসনা। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চন আর তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অঞ্জু ঘোষ।
এই সিনেমাতে যে ১১ টি গান ছিল সে সব কয়টি গানই জনপ্রিয় হয়েছিল। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবসাসহ সিনেমাগুলোর মধ্যে এটিরও নাম রয়েছে। এই সিনেমায় বিশ্বব্যাপী মোট আয় বিশ কোটি টাকা।
স্বপ্নের ঠিকানা (১৯ কোটি টাকা)
ভিন্ন ধরনের স্টাইলের কারণে রোমান্টিক নাক হিসেবে ৯০ এর দশকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নায়ক সালমান শাহ। এম এ খালেক পরিচালিত এবং সালমান শাহ ও শাবনুর অভিনীত স্বপ্নের সিনেমার স্বপ্নের ঠিকানা সিনেমাটি আয় করেন ১৯ কোটি টাকা, যেটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ৩য় সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র আয়কারী চলচ্চিত্র।
১৯৯৫ সালের ১১ মে সিনেমাটি ঢাকার বাইরে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে দর্শকদের ব্যাপক চাহিদায় ঢাকা সহ সারাদেশে মুক্তি দেওয়ার পর সিনেমাটি বেশ আলোড়ন তুলে দেশ জুড়ে।
হাওয়া (১৬ কোটি টাকা)
করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে যে কাজগুলো দেশীয় সিনেমাকে পুনরায় তুলে ধরেছিল সেগুলোর মধ্যে এই হাওয়া একটি। মেজবাউর রহমান সুমন রচিত ও পরিচালিত এই রহস্য- নাটক ঘরানার সিনেমাটির প্রযোজনায় ছিল সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচারস লিমিটেড।
ছবিতে আকর্ষণীয় অভিনয় দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী এবং উদীয়মান তারকা নাজিফা তুশি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলেন শরিফুল রাজ। সুমন আনোয়ার, সোহেল মন্ডল, নাজির উদ্দিন খান এবং রিজভী রিজু।
মাঝ সাগরে মাছ ধরার সময় একদল জেলে তাদের মাছ ধরার জালে আবিষ্কার করে সুন্দর ও রহস্যময় এক তরুণীকে। আর এরপর থেকেই ঘটনাতে শুরু হয় এক অদ্ভুত ঘটনা। এমন রোমাঞ্চকর পটভূমি সিনেমাটি মুক্তি পায় 2022 সালের ২৯ জুলাই।
ছবিটি বাংলাদেশের অস্কার কমিটি ৯৫-তম অস্কারের "সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম"বিভাগের জন্য নির্বাচন করেছিল। এছাড়াও এটি স্থান পেয়েছিল ৮০-তম গোল্ডেন গ্লোব প্রতিযোগিতা শর্টলিস্টে।
সত্যের মৃত্যু নেই (১১ কোটি টাকা)
১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া সত্যের মৃত্যু নেই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন আলমগীর, শাবানা, সালমান শাহ, শাহনাজ প্রমুখ। ১৯৯৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিবার সিনেমাটি। ১১ কোটি টাকা আয় করে সিনেমাটির জায়গা করে নিয়েছে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার তালিকায়।
প্রিয়া আমার প্রিয়া ( ১৫ কোটি টাকা)
মারপিট প্রণয়ধর্মী সিনেমা এটি । পরিচালনা করেছিলেন বদিউল আলম খোকন। সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও সাহারা। ২০০২ সালে পুনিত রাজকুমার অভিনীত কন্নড় ভাষার একটি সিনেমার রিমেক এটি।
সিনেমাটি ২০০৮ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশের ৩৩ টি হলে মুক্তি পায়। বক্স অফিসে ১৫ কোটি টাকা আয় করে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার তালিকায় চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে প্রিয়া আমার প্রিয়া।
মনপুরা (৮ কোটি টাকা)
অশ্লীলতা ও কুরুচিপূর্ণ সিনেমার আগ্রাসনে ডুবে যেতে বসেছিল বাংলা চলচ্চিত্র জগত। ২০০৯ সালে সেই অন্ধকার যুগে আলোর দিশারী হয়ে এসেছিল গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা সিনেমাটি। মুক্তি পাওয়ার পর সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল মনপুরা সিনেমাটি।
গ্রাম বাংলার পটভূমিতে নির্মিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন টিভি অভিনয়ের শিল্পী ফারহানা মিলি এবং চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমাটির সংগীত আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় শিল্পী অর্ণব।
নিথুয়া পাথারে, যাও পাখি বলো তারে, আগে যদি জানতাম রে বন্ধু সহ এই সিনেমার গানগুলো ঠাই পেয়েছিল মানুষের মুখে। মনপুরা ছবিটি ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ব্যবসা সফল এইচলচ্চিত্রের মোট আয় ছিল ৮ কোটি টাকা।
পরান (১২ কোটি টাকা)
দেশের সমসাময়িক এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই রোমান্টিক থ্রিলারটি নির্মাণ করেছিলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। লাইভ টেকনোলজিসের অধীনে মো. তামজিদ উল আলম প্রযোজিত সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো শুরু হয় ২০২২-এর ১০ জুলাই থেকে।
ত্রিকোণ প্রেমকে কেন্দ্র করে লোমহর্ষক ক হত্যাকাণ্ডের চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্র ছিলেন বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, ইয়াস রোহান ও এবং শরীফুর রাজ। ৮৩ লাখ টাকা বাজেটের সিনেমাটি প্রত্যাশার থেকেও বেশি আয় করতে সক্ষম হয়।
ছবির প্রযোজকের মতে, ছবিটির আগস্ট নাগাদ উপার্জন দিয়ে এরকম একই বাজেটের আরো পাঁচটি মুভি বানানো সম্ভব।
পাসওয়ার্ড (১২ কোটি টাকা)
২০১৯ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের মারপিট-অপরাধভিত্তিক চলচ্চিত্র পাসওয়ার্ড। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তার বিপরীত নায়িকা হিসেবে ছিলেন শবনম বুবলী। সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়েছে।
তবে, বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ৫ নম্বরে। সিনেমাটি বক্স অফিসে আয় করেছে ১২ কোটি টাকা।
আম্মাজান (১১ কোটি টাকা)
১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিনেমা আম্মাজান। ১৪৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন। সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শবনম। তার পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিত্র নায়ক মান্না।
এছাড়াও সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন মৌসুমী, আমিন খান, ডিপজল, মিজু আহমেদ প্রমুখ। সিনেমাটির আম্মাজান গানটি এখনো সবার মুখে মুখে। বক্স অফিসে সিনেমাটির আয় ১১ কোটি টাকা।
পরিশেষেঃ
বিনোদন বা অবসর সময় কাটানোর একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। আর এই সিনেমা দেখা নিয়ে মানুষের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে। যেমন কোন সিনেমা কত টাকা আয় করেছে ও কোন নায়ক কত টাকা ইত্যাদি।
আর আজকের আর্টিকেলে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা মুভি এবং বাংলাদেশের বেশি আয় করা মুভির আয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
আর এরকম নতুন নতুন টপিক পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটি ভিজিট করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url